সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যর্থতা ভুলতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপকেই মিশন হিসেবে নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সে লক্ষ্যে প্রথম পরীক্ষাটা উৎরে গেলো মামুনুলরা। উদ্বোধনী ম্যাচে যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে শ্রীলংকাকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শুভ সূচনা করলো বাংলাদেশ। পৌনে তিনটায় শুরু হওয়া ম্যাচটির প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ৩-১ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচের শুরু থেকেই উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। যার ধারাবাহিকতায় ১৬তম মিনিটেই প্রথম গোলের সাক্ষাৎ পেয়ে যায় টিম বাংলাদেশ। জাহিদের পাস থেকে বল পেয়ে যান শাখাওয়াত হোসেন রনি। শ্রীলংকার গোলরক্ষক এবং একজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বলটি জালে জড়াতে মোটেও কষ্ট করতে হয়নি রনিকে।
তবে চার মিনিটও লিড ধরে রাখতে পারেনি মারুফুল হকের শিষ্যরা। খেলার ২০ মিনিটেই গোল শোধ করে দেয় শ্রীলংকা। গোল শোধ করার ক্ষেত্রে অবশ্য অবদানটা বাংলাদেশের নাসিরের। ডি বক্সের ভেতর লংকান খেলোয়াড় ম্যাডিসন সিলভাকে ফেলে দেন তিনি। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন ম্যাডিসন সিগুয়াগ্ধো। বল জাড়িয়ে যায় জালে।
লংকানদের আনন্দ স্থায়ী হয় মাত্র ২ মিনিট। খেলার ২২ মিনিটেই আবার লিড নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। এবার ইয়াসিনের মাপা কর্ণার কিক থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন জাহিদ হোসেন। বল জটলার মধ্যে পড়লেও লংকান ডিফেন্ডাররা সেটা ফেরাতে ব্যর্থ। ফলে বল জড়িয়ে যায় সফরকারীদের জালে।
খেলার ৪২ মিনিটে আবারও লিড বাড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। এবার গোলদাতা জীবন। জাহিদের পাস থেকে ডান পায়ের দারুন এক শটে গোলটি করেন জীবন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে গেলো বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের ওপর ছড়াও হয়ে খেলার চেষ্টা করে শ্রীলংকার ফুটবলাররা। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিট যেতে না যেতেই (খেলার ৫০ মিনিটে) একটি গোল শোধ করে বসে লংকান ফুটবলাররা। ডি বক্সের বাইরে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে বল ফসকে বের হয়ে গেলে সেটা পেয়ে যান লংকান ফুটবলার সাংজুয়া। সুতরাং, স্বাগতিকদের জালে বল জড়াতে কোনই কষ্ট করতে হয়নি তাকে।
৩-২ ব্যবধানে দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়টা লড়াই বেশ জমে উঠেছিল। যশোরের দর্শকরা অবশ্য মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিল মামুনুলদের। সেই উৎসাহেই শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে (৮৬ মিনিটে) নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে চতুর্থ গোল করলেন সাখাওয়াত হোসেন রনি। মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো বলটি আটকাতে পারেনি লংকানদের রক্ষণভাড়ের দু’ফুটবলার। এমনকি গোলরক্ষক এগিয়ে এসেও বল নিয়ন্ত্রনে নিতে ব্যর্থ হন। ফলে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা রনির কাছে চলে যায় বলটি এবং দুর্দান্ত এক শটে লংকানদের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধান নিয়েই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শুভ সূচনা করলো টিম মারুফুল হক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।